বিডিনিউজ ১০ রিপোর্ট: বগুড়ার গাবতলী উপজেলার কালুডাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা প্রদানে হয়রানি, দায়িত্বে অবহেলা ও অনিয়মের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (টোল ফ্রি হটলাইন- ১০৬) অভিযোগ আসে, উল্লিখিত কমিউনিটি ক্লিনিকে রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়ার কথা থাকলেও অর্থ ব্যতীত কোনো সেবাই প্রদান করা হয় না। এছাড়াও ক্লিনিকটি যথাসময়ে খোলা থাকে না এবং রোগীদের সাথে দুর্ব্যবহার করা হয়- এ রূপ অভিযোগও লিপিবদ্ধ করা হয়। তৎপ্রেক্ষিতে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, বগুড়ার একটি এনফোর্সমেন্ট টিম এ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানকালে দুদক টিম জানতে পারে, কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার রাবেয়া সুলতানা বগুড়া সদর থেকে অফিসে যাতায়াত করেন এবং তিনি প্রতিদিন নির্ধারিত সময়ের ২-৩ ঘণ্টা পরে অফিসে এসে সামান্য সময়ের জন্য ক্লিনিক খোলা রেখে পুনরায় ফিরে যান।
দুদক টিম উক্ত ক্লিনিকের অর্থ-সংক্রান্ত নথিপত্র যাচাই করে ব্যয়ের খতিয়ানে ঘষামাজা রয়েছে মর্মে দেখতে পায়। ক্লিনিকে উদ্ঘাটিত নানাবিধ অনিয়মের বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা, গাবতলী ও সিভিল সার্জন, বগুড়াকে অবহিত করে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করে অভিযান পরিচালনাকারী টিম।
এদিকে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় কুমার নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে আগত এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, যশোরের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহায়তায় এ অভিযান পরিচালনা করে।
সরেজমিনে টিম জানতে পারে, প্রায় এক মাস যাবত নদী থেকে এভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রয় করা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন বালু উত্তোলনের জন্য ব্যবহৃত ড্রেজার এবং পাইপ জব্দ করে। পরবর্তীতে আগুনে পুড়িয়ে ২টি ড্রেজার ধ্বংস করে দেয়া হয় এবং পাইপগুলো বিনষ্ট করে দেয়া হয়। উপজেলা প্রশাসন অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে এ রূপ অভিযান অব্যাহত থাকবে মর্মে দুদককে নিশ্চিত করেছে।
এদিকে নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগে ফরিদপুর জেলা কারাগারে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ফরিদপুর এ অভিযান পরিচালনা করেয়। দুদক টিম ছদ্মবেশে অভিযান পরিচালনা করে কয়েদিদের সাথে সাক্ষাতের জন্য স্বজনদের নিকট হতে অতিরিক্ত টাকা আদায়কালে একজন হাবিলদারকে শনাক্ত করে। এ অনৈতিক কাজে যুক্ত থাকার অপরাধে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করে কারা কর্তৃপক্ষ। এছাড়া জেলখানার খাবারের নিম্নমানের অভিযোগটিও খতিয়ে দেখে দুদক টিম। টিম সকল খাবারের মূল্য তালিকা ও জেল সুপারের মোবাইল নম্বর কারাগারের বিভিন্ন দৃশ্যমান স্থানে টানানোর জন্য পরামর্শ দেয়।
এছাড়া সাভার ভূমি অফিসে অসাধু কর্মকর্তা কর্তৃক ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে, কুমিল্লায় এক সহকারী শিক্ষিকা কর্তৃক একই সময়ে দুই প্রতিষ্ঠান থেকে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের অভিযোগে, অপরিকল্পিতভাবে সেতু নির্মাণ করে সরকারি টাকা অপচয়ের অভিযোগে, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিভিন্ন কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে এবং ভুয়া বিল ভাউচার স্বাক্ষরের মাধ্যমে স্কুল উন্নয়নের টাকা উত্তোলনপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগে যথাক্রমে প্রধান কার্যালয়, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কুমিল্লা, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, যশোর, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রাজশাহী এবং সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ফরিদপুর হতে আরও পাঁচটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়েছে।